মোজাম্মেল হক আলম :
কুমিল্লার লাকসামে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লায়ন এনায়েত উল্লাহ এফসিএ। সোমবার বিকেলে নিজ গ্রাম হামিরাবাগে ৩য় জানাযা শেষে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে সকালে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরুহমের দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানাযার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এনায়েত উল্লাহর এফসিএ’র মৃত্যুতে বিশ্বস্ত সহচর হারিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মরহুম এনায়েত উল্লাহ আওয়ামী পরিবারের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, সদালাপী ও মিষ্টভাষী। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না। দলের নেতাকর্মীরা তাকে যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে।’
জানাযার নামাজে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, পৌর প্যানেল মেয়র বাহার উদ্দিন বাহার, আবদুল আলিম দিদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ দলিলুর রহমান মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব খাঁন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সর্বস্তরের কয়েক সহ¯্রাধিক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর মরহুমের কফিনে আওয়ামীলীগ, অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আনোয়ার খাঁন মডার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন লায়ন এনায়েত উল্লাহ এফসিএ। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শোক প্রকাশ করেন। রবিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় নিজ কার্য্যালয়ের সামনে প্রথম জানাযা ও সোমবার সকালে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বিকেলে নিজ গ্রাম হামিরাবাগে ৩য় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।